নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (da) ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিন দফায় মোট ১০ শতাংশ DA পেলেও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা কম পাচ্ছেন। এই মুহুর্তে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ১০ শতাংশ হারে ডিএ পেলেও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় তাঁরা এখনও ৩৬ শতাংশ ডিএ কম পাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সেই ডিএ আরও ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে হবে ৫০ শতাংশ। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে দাঁড়াবে ৪০ শতাংশ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ ঘোষণার দিন সাফ জানিয়েছেন, ডিএ দেওয়া ঐচ্ছিক। বাধ্যতামূলক নয়। কেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে আর্থিক বঞ্চনা করছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। তাঁদের হিসেব অনুযায়ী ডিএ বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা কম পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আসুন জেনেনিই হিসাব –
গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে: ২০১৬ সালে এই রাজ্যের কোনও গ্রুপ ডি-র কর্মীর এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল ১৭ হাজার টাকা। এই মুহুর্তে রাজ্যের কর্মীদের AICPI অনুযায়ী ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১৭ হাজার টাকার ৩৬ শতাংশ। মাসে ৬ হাজার ১২০ টাকা। তাহলে বছরের হিসেবে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা।
গ্রুপ সি কর্মীদের ক্ষেত্রে: ২০১৬ সালে গ্রুপ C-র কর্মী হিসেবে যিনি কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁর এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল ২২ হাজার ৭০০ টাকা। সেই টাকার ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ মাসে ৮,১৭২ টাকা। বছরে অঙ্কটা ১ লাখেরও বেশি।
আপার ডিভিশন ক্লাকদের ক্ষেত্রে: ২০১৬ সালে আপার ডিভিশনের কোনও ক্লাকের বেতন যদি ২৮৯০০ টাকা থেকে থাকে তাহলে সেই টাকার ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ সেই হিসেবে মাসে তিনি ডিএ কম পাচ্ছেন ১০ হাজার ৪০৪ টাকা। বার্ষিক ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি টাকা। অন্যান্য কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান আরও অনেকটাই বেশি।