Toll Plaza Protest: দীপাবলির আনন্দের মাঝে এক বেনজির প্রতিবাদের সাক্ষী থাকল দেশ। উৎসবের বোনাস না পেয়ে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার গেট খুলে দিলেন কর্মীরা। এর ফলে, কোনওরকম টোল ট্যাক্স ছাড়াই হাজার হাজার গাড়ি অবাধে পেরিয়ে গেল টোল প্লাজা, যা এককথায় নজিরবিহীন। এই ঘটনায় একদিকে যেমন সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হল, তেমনই কর্মীদের বঞ্চনার বিষয়টিও প্রকাশ্যে চলে এল।
ঘটনার সূত্রপাত দীপাবলির বোনাসকে কেন্দ্র করে। দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত টোল প্লাজার কর্মীরা অভিযোগ করেন যে, এই বছর দীপাবলির বোনাস হিসেবে তাঁদের হাতে নামমাত্র টাকা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, অনেক কর্মী সেই সামান্য টাকাটুকুও পাননি বলে খবর। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা এবং একযোগে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতিবাদের অভিনব উপায়
সাধারণত কর্মবিরতি বা ধর্মঘটে কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন, কিন্তু এক্ষেত্রে কর্মীরা এক অভিনব প্রতিবাদের পথ বেছে নেন। তাঁরা টোল প্লাজার সমস্ত গেটের ব্যারিয়ার তুলে দেন। এর ফলে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের মতো একটি ব্যস্ত জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়ে যায়।
- কর্মীদের অভিযোগ: উৎসবের মুখে প্রাপ্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
- প্রতিবাদী পদক্ষেপ: টোল আদায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- পরিণতি: হাজার হাজার গাড়ি কোনও টাকা না দিয়েই টোল প্লাজা পার করে, যার ফলে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়।
কর্মীদের ক্ষোভ ও সরকারের ভূমিকা
এই ঘটনায় কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়টি স্পষ্ট। তাঁদের মতে, সরকার টোল ট্যাক্স থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করে। এই বিপুল আয়ের একটি সামান্য অংশ কর্মীদের বোনাস হিসেবে দিতেও কর্তৃপক্ষের অনীহা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কর্মীরা জানান, সামান্য বোনাসের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মবিরতি এবং প্রতিবাদ চলবে।
এই বেনজির প্রতিবাদের ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে যাতায়াতের সুযোগ পেয়েছেন, তেমনই টোল কর্মীদের বঞ্চনার বিষয়টিও সামনে এসেছে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও, যারা সেই ব্যবস্থা সচল রাখে, সেই কর্মীদের সামান্য দাবিদাওয়া পূরণে কেন এত উদাসীন, সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


