Smriti Mandhana Record: ভারতীয় ক্রিকেটে আজ এক নতুন ইতিহাস রচনা করলেন স্মৃতি মান্ধানা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি যে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন, তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ODI সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই রেকর্ডের পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে।
স্মৃতির বিধ্বংসী ইনিংসের ঝলক
অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে স্মৃতি শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তাঁর ব্যাটিংয়ে ছিল নিখুঁত টাইমিং এবং অসাধারণ পাওয়ার হিটিংয়ের মিশ্রণ। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে তিনি অজি বোলারদের দিশেহারা করে দেন। দর্শকরা সাক্ষী থাকল এক অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সের।
স্মৃতি তাঁর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৫০ বলে, যা ভারতীয় ক্রিকেটে (পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট মিলিয়ে) এক নতুন রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন বিরাট কোহলি, যিনি ৫২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু আজ মান্ধানার ব্যাটের ঝড়ে সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। সেঞ্চুরির পরেও তিনি থামেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৬৩ বলে ১২৫ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ১৭টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা।
রেকর্ডের খাতায় নতুন সংযোজন
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে স্মৃতি মান্ধানা একাধিক রেকর্ড নিজের নামে করেছেন:
- ভারতের দ্রুততম ODI সেঞ্চুরিয়ান: পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট মিলিয়ে তিনি এখন ভারতের দ্রুততম ODI সেঞ্চুরির মালিক।
- বিরাট কোহলিকে টপকে: তিনি বিরাট কোহলির ৫২ বলের রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন।
- বিশ্বে দ্বিতীয় দ্রুততম: মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বের দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তাঁর আগে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং, যিনি মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
ম্যাচের প্রেক্ষাপট এবং গুরুত্ব
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই তিন ম্যাচের ODI সিরিজ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজটি দলের প্রস্তুতি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য একটি বড় মঞ্চ। আর সিরিজের শুরুতেই স্মৃতি মান্ধানার এমন একটি রেকর্ড গড়া ইনিংস ভারতীয় দলকে নিঃসন্দেহে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে। তাঁর এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে যে তিনি একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং আসন্ন বিশ্বকাপে তিনি ভারতের অন্যতম প্রধান ভরসা হতে চলেছেন। তাঁর এই ঐতিহাসিক ইনিংস ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিল।