expensive indian sweets: উৎসবের মরসুমে মিষ্টির বাজার সব সময়ই জমজমাট থাকে। তবে এবার জয়পুরের বাজারে এমন এক মিষ্টি এসেছে, যার দাম শুনলে চমকে উঠতে পারেন অনেকেই। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটিকে ভারতের সবচেয়ে দামী মিষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই মিষ্টির দাম সোনার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে, যেখানে প্রতিটি টুকরোর দাম প্রায় তিন হাজার টাকা।
এই অনন্য মিষ্টির স্রষ্টা হলেন অঞ্জলি জৈন। তাঁর লক্ষ্য ছিল এমন একটি মিষ্টি তৈরি করা যা স্বাদ, স্বাস্থ্য এবং রাজকীয় আভিজাত্যকে একসূত্রে বাঁধবে। এই বিশেষ মিষ্টিটির নাম ‘স্বর্ণ প্রসাদম’। এটি তৈরি করা হয়েছে পাইন বাদাম (চিলগোসা), খাঁটি কাশ্মীরি জাফরান এবং ভোজ্য সোনার ছাই (স্বর্ণ ভাষ্মা)-এর মতো অত্যন্ত দামী এবং সেরা মানের উপাদান দিয়ে। মিষ্টিটি দেখতেও অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যা সোনালী রঙের ঝলমলে রাংতা দিয়ে মোড়ানো থাকে। শুধু তাই নয়, এটি পরিবেশন করা হয় একটি সুন্দর গয়নার বাক্সের মতো দেখতে প্যাকেজিংয়ে, যা এর রাজকীয়তাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
স্বাস্থ্য এবং বিলাসিতার মেলবন্ধন
এই মিষ্টি শুধু দেখতে বা খেতে সুন্দর নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। অঞ্জলি জৈনের মতে, মিষ্টিতে ব্যবহৃত স্বর্ণ ভাষ্মা আয়ুর্বেদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পরিচিত। তাই ‘স্বর্ণ প্রসাদম’-কে একটি স্বাস্থ্য-সচেতন বিলাসবহুল মিষ্টি হিসেবেও গণ্য করা হচ্ছে। যারা স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন কিন্তু উৎসবের আমেজেও গা ভাসাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ বিকল্প হতে পারে।
অন্যান্য দামী মিষ্টির সম্ভার
‘স্বর্ণ প্রসাদম’ ছাড়াও অঞ্জলি জৈনের মিষ্টির দোকানে আরও অনেক দামী ও আকর্ষণীয় মিষ্টি পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি মিষ্টি ও তাদের দামের একটি তালিকা দেওয়া হলো:
| মিষ্টির নাম | প্রতি পিসের দাম (টাকায়) | প্রতি কেজির দাম (টাকায়) |
|---|---|---|
| স্বর্ণ ভাষ্মা ভারত | ১,৯৫০ | ৮৫,০০০ |
| চণ্ডী ভাষ্মা ভারত | ১,১৫০ | ৫৮,০০০ |
এই মিষ্টিগুলিতে বাদাম, পেস্তা, কাজু, ডুমুর, ব্লুবেরি, সাদা চকোলেট এবং সল্টেড মাখন ক্যারামেলের মতো বিদেশী ও সেরা মানের উপাদান ব্যবহার করা হয়। এমনকি কাজু কাটলি, রসমালাই এবং লাড্ডুর মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোকেও এখানে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করা হচ্ছে।
দীপাবলির বিশেষ আকর্ষণ: ‘পাটাখা থাল’
উৎসবের আমেজকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে অঞ্জলি জৈন এই দীপাবলির জন্য একটি বিশেষ “পাটাখা থাল” (আতশবাজির থালা) চালু করেছেন। এই থালায় রয়েছে কাজু-ভিত্তিক মিষ্টি যা পটকা, ঝিলিমিলি এবং প্রদীপের আকারে তৈরি। এর পাশাপাশি থালায় রয়েছে স্বর্ণ ভাষ্মা রসমালাই এবং স্বাস্থ্য সচেতন গ্রাহকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শুকনো ফলের কেক।
এই দীপাবলিতে, জয়পুরের মিষ্টির দোকানগুলি শুধু মিষ্টিই বিক্রি করছে না, বরং তারা বিলাসিতা, সুস্থতা এবং উৎসবের শৈল্পিকতার এক বিরল মিশ্রণ উপহার দিচ্ছে গ্রাহকদের।


