China New Law: বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে যখন নতুন করে ভাবনাচিন্তা চলছে, ঠিক সেই সময়ে চীন এক যুগান্তকারী এবং কঠোর আইন কার্যকর করল। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে চীনের কোনো নাগরিক যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষা, আইন বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আলোচনা বা কন্টেন্ট তৈরি করতে চান, তবে তাদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি থাকতে হবে। এই আইন চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে, বিশেষ করে যারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন তথ্যমূলক কন্টেন্ট তৈরি করেন, তাদের কার্যকলাপের উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে। এখন থেকে এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে কোনো মতামত, বিশ্লেষণ বা পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হতে পারে।
কেন এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার?
চীনা সরকার এই নতুন আইন কার্যকর করার পেছনে দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছে। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো অনলাইন জগতে তথ্যের গুণমান এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা।
সরকারের উল্লিখিত কারণগুলি হলো:
- ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি বন্ধ করা: সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য, আইন এবং শিক্ষা বিষয়ে প্রচুর ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন এবং সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সরকার মনে করছে, শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিরাই যদি এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেন, তবে ভুল তথ্যের প্রচার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
- ইন্টারনেটকে আরও বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ করে তোলা: যখন ব্যবহারকারীরা জানবেন যে নির্দিষ্ট বিষয়ে যিনি কথা বলছেন তিনি সেই বিষয়ে শিক্ষিত এবং যোগ্য, তখন ইন্টারনেটের উপর তাদের আস্থা বাড়বে। এর ফলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নিরাপদ হয়ে উঠবে বলে সরকার আশা করছে।
এই নতুন আইন চীনের ডিজিটাল জগতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। এর ফলে একদিকে যেমন তথ্যের গুণগত মান উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনই অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কতটা প্রভাবিত হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে সরকারের মূল উদ্দেশ্য যে অনলাইন জগতকে আরও সুশৃঙ্খল এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলা, তা স্পষ্ট।


