Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা গ্রুপ C এবং গ্রুপ D পদে চাকরিচ্যুতদের ভাতা দেওয়ার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ এই রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে ২০২৬ সালের ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মীদের কোনও ভাতা প্রদান করা যাবে না। এই নির্দেশের ফলে চাকরিচ্যুত কর্মীরা আপাতত রাজ্য সরকারের ঘোষিত আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন না, যা তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
মামলার প্রেক্ষাপট
পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাকরিচ্যুত গ্রুপ C কর্মীদের জন্য মাসিক ২৫,০০০ টাকা এবং গ্রুপ D কর্মীদের জন্য মাসিক ২০,০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। এই ভাতা ‘পশ্চিমবঙ্গ জীবন ও সামাজিক সুরক্ষা অন্তর্বর্তীকালীন প্রকল্প, ২০২৫’ (West Bengal Livelihood and Social Security Interim Scheme, 2025) নামক একটি প্রকল্পের অধীনে প্রদান করার কথা ছিল। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীদের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, নিয়োগে দুর্নীতির কারণে যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাদের করের টাকায় ভাতা দেওয়া অনুচিত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ
বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলার শুনানিতে শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। আদালত জানিয়েছে যে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য সরকার চাকরিচ্যুতদের কোনওরকম ভাতা দিতে পারবে না। আদালতের এই নির্দেশের ফলে রাজ্য সরকারের ভাতা প্রদান প্রকল্প আপাতত বিশ বাঁও জলে। আদালত এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনতে চেয়েছে এবং পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
চাকরিচ্যুতদের ভবিষ্যৎ
হাইকোর্টের এই নির্দেশে চাকরিচ্যুত কর্মীদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। একদিকে তারা চাকরি হারিয়েছেন, অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তাও আপাতত বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা সময়ই বলবে। তবে এই রায় যে তাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আদালতের পরবর্তী নির্দেশের দিকেই এখন সকলের নজর থাকবে।