Bajrang Setu: ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী ঋষিকেশে এবার যুক্ত হতে চলেছে এক নতুন দিগন্ত। পর্যটকদের জন্য এক অভাবনীয় আকর্ষণ হিসেবে গড়ে উঠছে দেশের সর্বপ্রথম কাঁচের সেতু, যার নামকরণ করা হয়েছে “বজরং সেতু”। এই সেতুটি শুধুমাত্র একটি স্থাপত্যের নিদর্শনই নয়, বরং এটি আধুনিক প্রযুক্তি এবং সনাতন আধ্যাত্মিকতার এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন হতে চলেছে। ঋষিকেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে এই সেতুটি এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে
এই অভিনব সেতুটির নির্মাণ কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৩২ মিটার দীর্ঘ এই কেবল-সাসপেনশন ব্রিজটির ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। নির্মাতারা আশা করছেন, সমস্ত কাজ শেষ করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এটি সাধারণ মানুষের জন্য সম্পূর্ণরূপে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এই সেতু চালু হলে ঋষিকেশের পর্যটন মানচিত্রে একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ নাম যুক্ত হবে, যা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।
এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেবে বজরং সেতু
“বজরং সেতু”-এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর স্বচ্ছ কাঁচের মেঝে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় পর্যটকরা পায়ের নিচে দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা গঙ্গা নদীকে স্পষ্ট দেখতে পাবেন। স্বচ্ছ কাঁচের ওপর দাঁড়িয়ে নীচে বহমান গঙ্গার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নিঃসন্দেহে এক অনন্য এবং রোমাঞ্চকর অনুভূতি দেবে। চারপাশে হিমালয়ের মনোরম দৃশ্য এবং নীচে গঙ্গার স্রোত, এই দুইয়ের মিশেলে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পর্যটকরা। এই সেতুটি প্রকৃতিপ্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী উভয়ের কাছেই সমানভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
আধ্যাত্মিকতা ও স্থাপত্যের অসাধারণ মিলন
এই সেতুটিকে শুধুমাত্র একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে না, এর সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে গভীর আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। সেতুর দুই প্রান্তে স্থাপন করা হবে হিন্দুধর্মের দুই পবিত্র ধাম, ভগবান কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথের মূর্তি। এই মূর্তি দুটি সেতুর সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মনে এক পবিত্র অনুভূতির সঞ্চার করবে। এটি আধুনিক স্থাপত্যকলার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির এক অসাধারণ মিলন ঘটাবে, যা “বজরং সেতু”-কে অন্য সকল সেতু থেকে আলাদা করে তুলবে। পরিশেষে, এই “বজরং সেতু” শুধু পর্যটনের নতুন গন্তব্য নয়, বরং ঋষিকেশের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের এক স্থায়ী প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে নিজের নাম লেখাতে চলেছে।
“`


