Kone Dekha Alo: জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘কনে দেখা আলো’ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। ধারাবাহিকের গল্পে এসেছে এক নতুন মোড়, যা দেখে দর্শকরা বেজায় খুশি। গল্পের নায়ক-নায়িকার রসায়ন দর্শকদের মন জয় করলেও, অনেক ক্ষেত্রেই পার্শ্ববর্তী চরিত্রদের জুটি মূল চরিত্রদের থেকেও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে। ‘কনে দেখা আলো’ ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটছে। লাজু এবং অনুভবের জুটিকে দর্শকরা যতটা পছন্দ করছেন, ততটা লাজু ও সুদেবের জুটিকে করছেন না। অবশেষে দর্শকদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হতে চলেছে।
সুদেবের প্রত্যাখ্যান এবং লাজুর ভগ্ন হৃদয়
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, লাজু তার অধিকার বুঝে নিতে সুদেবের বাড়িতে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাকে চরম অপমানের শিকার হতে হয়। সুদেবের বাবা-মা তাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তবে লাজু হাল ছাড়ার পাত্রী নয়, সে সেখানেই ঠায় বসে থাকে। এই টানাপোড়েনের পর লাজু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সরাসরি সুদেবের মুখোমুখি হয়।
এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে লাজু সরাসরি সুদেবকে জিজ্ঞেস করে, “সুদেব তুমি কি চাও? তুমি হ্যাঁ বা না বলো।” লাজুর এই সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে সুদেব যা বলে, তার জন্য হয়তো লাজু প্রস্তুত ছিল না। সুদেব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, “তুমি চলে যাও লাজু, এখান থেকে চলে যাও।” সুদেবের মুখ থেকে এই কথা শোনার পর লাজুর মন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সে অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং কাঁদতে কাঁদতে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
বনলতার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ও দর্শকদের উল্লাস
গল্পে বনলতা চরিত্রটি প্রথম থেকেই লাজু এবং সুদেবকে এক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। সুদেবের এই সিদ্ধান্তের পরেও সে তার চেষ্টা চালিয়ে যায়, কিন্তু তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সুদেব তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। তবে এই ঘটনায় লাজু কষ্ট পেলেও, দর্শকরা যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়।
দর্শকদের একটা বড় অংশ প্রথম থেকেই চাইছিলেন যে, লাজু যেন অনুভবের জীবনে ফিরে আসে। তাদের মতে, অনুভবের সঙ্গেই লাজুর রসায়ন সবচেয়ে বেশি জমে ওঠে। সুদেবের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে লাজুর চরিত্রটি একেবারেই মানানসই নয় বলে মনে করেন দর্শকরা। তাদের বক্তব্য, লাজুর জন্য অনুভবই পারফেক্ট জীবনসঙ্গী। তাই সুদেবের এই প্রত্যাখ্যানকে তারা লাজু এবং অনুভবের মিলনের প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখছেন। আগামী পর্বগুলি যে আরও धमाकेदार হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এখন দেখার, লাজু কি সত্যিই অনুভবের কাছে ফিরে যাবে নাকি গল্পের মোড় অন্যদিকে ঘুরবে।


