Purulia Steel Plant: পশ্চিমবঙ্গের শিল্প মানচিত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। রাজ্যের অন্যতম অনগ্রসর জেলা পুরুলিয়ায় এক বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা করল রশ্মি গ্রুপ। প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি সুসংহত ইস্পাত ও পাওয়ার প্লান্ট (Integrated Steel and Power Plant) তৈরি করতে চলেছে এই সংস্থা, যা জেলার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই প্রকল্প শুধুমাত্র রাজ্যের শিল্প বিকাশকেই ত্বরান্বিত করবে না, বরং হাজার হাজার মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
প্রকল্পের খুঁটিনাটি
রশ্মি গ্রুপের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পটি শিল্প এবং শক্তি উভয় ক্ষেত্রেই একটি বড় পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটির লক্ষ্য হল বছরে ২.৮ মিলিয়ন টন ইস্পাত উৎপাদন করা। এর পাশাপাশি, এই প্লান্ট থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, যা শুধুমাত্র প্লান্টের নিজস্ব চাহিদা মেটাবে না, বরং রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকেও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
প্রকল্পটির একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি সম্পন্ন করার জন্য ২০৩০ সালকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। নীচে টেবিলের মাধ্যমে প্রকল্পের প্রধান বিষয়গুলি তুলে ধরা হলো:
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| সংস্থা | রশ্মি গ্রুপ (Rashmi Group) |
| স্থান | পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ |
| মোট বিনিয়োগ | ১০,০০০ কোটি টাকা |
| ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা | বার্ষিক ২.৮ মিলিয়ন টন |
| বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা | ৪০০ মেগাওয়াট |
| প্রকল্প শেষের সময়সীমা | ২০৩০ সাল |
কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রভাব
এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর মাধ্যমে তৈরি হতে চলা বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। একটি এত বড় মাপের শিল্প প্রকল্পে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হাজার হাজার মানুষের চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে পুরুলিয়া এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে, যা এলাকার আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের হাত ধরে পুরুলিয়ায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সহযোগী শিল্পের বিকাশ এবং বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে, রশ্মি গ্রুপের এই উদ্যোগ পুরুলিয়াকে রাজ্যের অন্যতম প্রধান শিল্পকেন্দ্রে পরিণত করার সম্ভাবনা রাখে, যা নিঃসন্দেহে এক নতুন উন্নয়নের অধ্যায়ের সূচনা করবে।


