Real Heroine: আধুনিক প্রচারমাধ্যমের যুগে প্রায়শই আমাদের সামনে এমন কিছু ঘটনা আসে যা সমাজের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে। একদিকে যখন সেলিব্রিটি পরিবারের সন্তানদের জীবনের ছোটখাটো মুহূর্তও বড় শিরোনাম তৈরি করে, অন্যদিকে দেশের জন্য গৌরব নিয়ে আসা আসল প্রতিভারা থেকে যান প্রচারের আলোর বাইরে। সম্প্রতি এই বিতর্কটি আবারও উস্কে দিয়েছে দুটি নাম – সারা তেন্ডুলকর এবং দিব্যা ত্যাগী।
সচিন তেন্ডুলকরের মেয়ে সারার এক ঝলক পাওয়ার জন্য মিডিয়া এবং অনুরাগীদের মধ্যে যে উন্মাদনা দেখা যায়, তা আমাদের সকলেরই জানা। তাঁর ফ্যাশন, তাঁর উপস্থিতি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু এই হাজার ওয়াটের আলোর পাশেই রয়েছে এক গভীর নীরবতা, যেখানে হারিয়ে যান দিব্যা ত্যাগীর মতো আসল নায়িকারা।
কে এই দিব্যা ত্যাগী?
দিব্যা ত্যাগী সেই ভারতীয় কন্যা যিনি এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তিনি শত বছরের পুরনো এক জটিল গণিতের ধাঁধা সমাধান করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এটি কোনো সাধারণ কৃতিত্ব নয়; এটি মেধা, অধ্যাবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যে ধাঁধা বহু বছর ধরে বিশ্বের তাবড় গণিতজ্ঞদের ভাবিয়েছে, সেই সমস্যার সমাধান এসেছে ভারতের এই কন্যার হাত ধরে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, দিব্যার এই ঐতিহাসিক সাফল্য নিয়ে ক’জন মানুষ জানেন? ক’টি সংবাদমাধ্যম এই খবরকে প্রথম পাতায় জায়গা দিয়েছে? উত্তরটা সম্ভবত হতাশাজনক। সেলিব্রিটিদের জীবনের ঝলকানি যেখানে সহজেই খবর হয়ে যায়, সেখানে দিব্যার মতো মেয়েদের অর্জন যেন এক গভীর নীরবতায় ডুবে যায়।
প্রচারের আলো কার প্রাপ্য?
এই ঘটনাটি একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরে: আমাদের দেশের আসল গর্ব কে? যাদের পরিচয় তৈরি হয় পারিবারিক খ্যাতির উপর ভিত্তি করে, নাকি যারা নিজেদের মেধা এবং নীরব পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান?
- সেলিব্রিটি সংস্কৃতি: মিডিয়া প্রায়শই সেই বিষয়বস্তু তুলে ধরে যা দর্শক টানতে পারে। সেলিব্রিটিদের জীবনের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহকে পুঁজি করে তৈরি হয় শিরোনাম।
- মেধার অবহেলা: অন্যদিকে, জ্ঞান, বিজ্ঞান বা গণিতের মতো ক্ষেত্রে বড় কোনো সাফল্য অর্জন করলেও তা সাধারণ মানুষের কাছে ততটা আকর্ষণীয় হয় না। ফলে, দিব্যা ত্যাগীদের মতো প্রতিভারা যোগ্য সম্মান ও পরিচিতি থেকে বঞ্চিত হন।
দেশের প্রকৃত শক্তি লুকিয়ে রয়েছে দিব্যা ত্যাগীদের মধ্যেই। তাঁদের মেধা, অধ্যাবসায় এবং নীরব পরিশ্রমই ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে। যখন আমরা এই আসল নায়িকাদের চিনতে এবং সম্মান জানাতে শিখব, তখনই দেশ সত্যিকারের অর্থে এগিয়ে যাবে। সময় এসেছে শিরোনামের বাইরে গিয়ে দেশের আসল গর্বকে খুঁজে বের করার এবং তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়ার। কারণ, সত্যিকারের নায়িকা ওরাই


