Dubai population: বিশ্বের মানচিত্রে দুবাই এক বিস্ময়ের নাম। বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, আকাশছোঁয়া অট্টালিকা আর আধুনিক প্রযুক্তির এক আশ্চর্য মেলবন্ধন এই শহর। কিন্তু এই শহরের জনসংখ্যার দিকে তাকালে আপনি আরও বেশি অবাক হবেন। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ের জনসংখ্যা ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু এর মধ্যে লুকিয়ে আছে এক চমকপ্রদ পরিসংখ্যান যা অনেকেরই অজানা।
এই বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ হলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রকৃত নাগরিক বা এমিরাতি। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষই হলেন বিদেশী, যারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভাগ্য অন্বেষণে এই শহরে এসেছেন। এর সহজ অর্থ হলো, দুবাইয়ের রাস্তায় আপনি যে দশজন মানুষের সাথে পরিচিত হবেন, তাদের মধ্যে নয়জনই হবেন আপনার বা আমার মতো কোনো প্রবাসী।
দুবাইয়ের জনসংখ্যার চিত্র
দুবাইয়ের এই জনতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য শহরটিকে এক বিশ্বজনীন রূপ দিয়েছে। এখানে স্থানীয় এমিরাতিরা নিজেদের দেশেই কার্যত সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতি বিশ্বের অন্য কোনো বড় শহরের ক্ষেত্রে প্রায় অকল্পনীয়। নিচে একটি সহজ তালিকার মাধ্যমে এই বিভাজনটি তুলে ধরা হলো:
| নাগরিকত্বের ধরণ | জনসংখ্যার শতাংশ |
|---|---|
| স্থানীয় এমিরাতি নাগরিক | ১০% |
| বিদেশী বা প্রবাসী | ৯০% |
প্রবাসীদের অবদান
প্রশ্ন আসতেই পারে, এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কারা এবং দুবাইয়ের অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা কী? এই ৯০ শতাংশ বিদেশীর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি হলো ভারতীয়দের। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং আরও অনেক দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ দুবাইয়ের অর্থনীতি ও নির্মাণ শিল্পের মূল চালিকাশক্তি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ঘাম এবং ত্যাগের বিনিময়েই গড়ে উঠেছে আজকের ঝলমলে দুবাই।
শহরের বিলাসবহুল টাওয়ার, বিশাল শপিং মল এবং বিশ্বমানের পরিকাঠামোর প্রতিটি ইঁটের পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো না কোনো প্রবাসীর স্বপ্ন পূরণের গল্প। তারা শুধু শ্রমিক নন, দুবাইয়ের অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
দুবাই আজ কেবল আধুনিকতা বা ঐশ্বর্যের প্রতীক নয়, এটি একটি জ্বলন্ত উদাহরণ যা প্রমাণ করে যে কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা থাকলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করা সম্ভব। এই শহর দেখিয়েছে কিভাবে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ একসঙ্গে মিলে একটি বিশ্বমানের metropolis তৈরি করতে পারে, যেখানে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু হলেও উন্নয়নের গতি থেমে থাকে না।
“`


