Compass Serial Update: জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘কম্পাস’-এর সাম্প্রতিক পর্ব দর্শকদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ধারাবাহিকের গল্পে এসেছে এক নতুন মোড়, যেখানে মোনা এবং তার দাদুর যৌথ চক্রান্ত কম্পাসের জীবনকে এক কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে। যদিও তাদের একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, অন্যটি তাদের অসৎ উদ্দেশ্যকে সফল করেছে, যা গল্পের উত্তেজনাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, কম্পাস যাতে কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় বসতে না পারে, তার জন্য মোনা এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করে। মাহিরের সাহায্য নিয়ে কম্পাসকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়, যাতে সে পরীক্ষার দিন ঘুম থেকে উঠতে না পারে। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। সঠিক সময়ে বিহান এবং ঋতুজা চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হয়ে কম্পাসকে উদ্ধার করে এবং পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেয়। মোনার প্রথম পরিকল্পনা এভাবেই ভেস্তে যায়।
ব্যর্থ এক চক্রান্ত, সফল অন্য ষড়যন্ত্র
ঘুমের ঔষধের পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও মোনা এবং তার দাদু হাল ছাড়েনি। তারা অন্য একটি অসৎ পথ বেছে নেয়। দর্শকরা জানতে পারেন যে, মোনার দাদু পরীক্ষার আগেই সম্পূর্ণ প্রশ্নপত্র জালিয়াতি করে সংগ্রহ করেছিলেন। সেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাহায্যেই মোনা খুব সহজে পরীক্ষা দিয়ে দেয় এবং কলেজে ভর্তিও হয়ে যায়। এই ঘটনায় কম্পাসের মনে তীব্র সন্দেহের জন্ম দেয়। পরীক্ষার হলে মোনার আত্মবিশ্বাসী হাবভাব দেখেই কম্পাস অনুমান করে যে, সে নিশ্চয়ই আগে থেকে সব প্রশ্ন সম্পর্কে অবগত ছিল।
কে এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা?
গল্পের নাটকীয়তা এখন তুঙ্গে। মোনার এই অসৎ উপায়ে সাফল্য পাওয়ার পর দর্শকদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে – এই প্রশ্ন জালিয়াতির পিছনে আসল মাথাটা কার? ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পরিকল্পনায় মাহির জড়িত ছিল, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস হলো কার মাধ্যমে?
এখন মূল রহস্য দানা বেঁধেছে চৌধুরী পরিবারকে কেন্দ্র করে। কয়েকটি মূল প্রশ্ন উঠে আসছে:
- দাদু কার মাধ্যমে এই প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করলেন?
- এই জালিয়াতির পিছনে কি অখিলেষ চৌধুরীর হাত আছে?
- নাকি কিঞ্জল চৌধুরী এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত?
ধারাবাহিকের আগামী পর্বগুলিতে এই রহস্যের জট খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। কম্পাস কি পারবে মোনা এবং তার দাদুর এই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতে? চৌধুরী পরিবারের কোন সদস্যের আসল রূপ সামনে আসবে? উত্তর জানতে হলে চোখ রাখতে হবে ‘কম্পাস’-এর আগামী পর্বগুলির দিকে।


