আসন্ন দীপাবলির উৎসবের মরসুমে যাত্রীদের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর নিয়ে এল ভারতীয় রেল। উৎসবের দিনগুলিতে বাড়ি ফেরা এবং ভ্রমণের চাহিদা মাথায় রেখে রেলওয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য। এর মধ্যে দিঘা রুট থেকে বিশেষ ট্রেন চালানো এবং হাওড়া-রাউরকেলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যা দ্বিগুণ করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলির মূল লক্ষ্য হল উৎসবের সময় ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড় কমানো এবং যাত্রীদের ভ্রমণ আরও আরামদায়ক ও সুবিধাজনক করে তোলা। রেল মন্ত্রকের সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, এই পরিবর্তনগুলি অক্টোবর ২০২৫ থেকেই কার্যকর করা হবে।
দিঘা রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন
দীপাবলি এবং অন্যান্য উৎসবের সময় দিঘায় পর্যটকদের ভিড় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ভারতীয় রেল দিঘা থেকে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই স্পেশাল ট্রেনগুলি উৎসবের দিনগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে সাহায্য করবে। এটি একটি নিয়মিত পদক্ষেপ, কারণ রেলওয়ে প্রায়শই দীপাবলি, বড়দিন এবং অন্যান্য প্রধান ভারতীয় উৎসবের সময় যাত্রীদের ভিড় সামলাতে এই ধরনের বিশেষ পরিষেবা চালু করে থাকে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ছুটি কাটাতে বা বাড়ি ফিরতে অনেক সুবিধা হবে।
হাওড়া-রাউরকেলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দ্বিগুণ কোচ
যাত্রীদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা এবং উৎসবের মরসুমে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাওড়া-রাউরকেলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-এর কোচ সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, অক্টোবর ২০২৫ থেকে এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ যোগ করা হবে, যার ফলে আরও বেশি যাত্রী একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সাধারণত, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে উৎসবের সময় যাত্রীদের চাপ বাড়লে কোচের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এই পরিবর্তনগুলি ভারতীয় রেলের সময়সূচী এবং ক্ষমতা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর করা হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে হাওড়া এবং রাউরকেলার মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীরা আরও সহজে টিকিট পাবেন এবং তাদের ভ্রমণ আরও सुखকর হবে।
যাত্রীদের সুবিধাই মূল লক্ষ্য
ভারতীয় রেলের এই দুটি বড় সিদ্ধান্ত—বিশেষ ট্রেন চালানো এবং কোচ বাড়ানো—উভয়েরই প্রধান উদ্দেশ্য হল যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে যাত্রীদের চাপের উপর নজর রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দীপাবলির মতো বড় উৎসবের সময় এই ধরনের পদক্ষেপগুলি যাত্রীদের ভিড়ের চাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং একটি মসৃণ ও নিরাপদ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে পর্যটকরা সকলেই।


