ASHA Workers Grant: রাজ্যের আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য খুশির খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মোবাইল ফোন কেনার জন্য তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা করে জমা করা হলো। বৃহস্পতিবার এই টাকা পাঠানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা বার্তাও জানানো হয়েছে প্রত্যেক কর্মীকে। এই পদক্ষেপে রাজ্যের প্রায় এক লক্ষেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং প্রায় ৭০ হাজার আশাকর্মী উপকৃত হলেন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল কর্মীদের ‘সুষ্ঠু কাজ’ এবং সাধারণ মানুষকে ‘উন্নততর পরিষেবা’ প্রদান নিশ্চিত করা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য ও শিশুকল্যাণ পরিষেবা আরও মসৃণভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।
মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা
এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি কর্মীকে একটি ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর সই করা সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আমাদের এই প্রয়াস আপনাদের প্রতিদিনের কর্মযজ্ঞে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে এবং শিশু ও মাতৃকল্যাণে আরও অগ্রগতি আনবে- এই আশা রাখি।” শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি।” সরকারের এই উদ্যোগ যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজ করা কর্মীদের মনোবল বাড়াবে, তা অনস্বীকার্য।
বাজেটের প্রতিশ্রুতি পূরণ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের লক্ষাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও প্রায় ৭০ হাজার আশাকর্মীর জন্য স্মার্টফোন কিনতে মোট ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হওয়ায় খুশি কর্মীরা।
এই টাকা দিয়ে কেনা স্মার্টফোনগুলি তাঁদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণমূলক অ্যাপ ব্যবহার করা অনেক সহজ হবে। এতদিন অনেককেই নিজের ব্যক্তিগত ফোন সরকারি কাজে ব্যবহার করতে হতো, যা নানা সমস্যার সৃষ্টি করত। এখন নিজস্ব স্মার্টফোন পাওয়ায় সেই সমস্যা দূর হবে। তথ্য সংগ্রহ, রিপোর্ট জমা দেওয়া এবং সরকারি নির্দেশাবলী পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও নির্ভুল হবে, যা সামগ্রিকভাবে রাজ্যের শিশু ও মাতৃকল্যাণ পরিষেবা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগকে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিজিটালি ক্ষমতায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


